| মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সুখ অসীম অপার
স্পর্শে সুখ, গন্ধে সুখ অসীম
নিয়ে আসে অনাবিল প্রশান্তি
এ যৎকিঞ্চিত নয় নিশ্চয় কোন সংজ্ঞায়!
প্রিয়জনের সাথে সুখের আকিন্চন
যে কোন মাত্রায় বুঝানো সুকঠিন
দাঁড়িপাল্লা দিয়ে কি অনুভব মাপা যায়?
সমুদ্র মন্হন করে মুক্তা আহরণ
হিমাচল চরাচরে শীতল নিশ্বাসে
মরুতে লুহাওয়ায় সাহসী বেদুইন বিচরণ
এসবে সুখ আসে সেতো নিতান্তই অকিন্চিত
প্রিয়ার স্পর্শের কাছে একেবারেই তুচ্ছ !
বিধ্বস্ত তবু প্রিয়ার আহ্বান তার মত নেই প্রিয় কিছু
নৈকট্যের বাসনা জেগে শত বাধা ঠেলে ঢেউ
তীর ভেংগে অসীম নির্জনে সুখে ধাবমান আনন্দধামে।
এ নৈকট্য অনাবিল সুখের সত্তা
আর কিছু নেই সমীচীন তুলনা
হৃদপিন্ড নাড়ায় এ সুখ অনুভূতি স্মরণে।
জীবনচক্র
বৃক্ষরাজি, মানুষের আর পক্ষীকুলের মিতালী
অভিনব নয় কিছু, সৃষ্টির শুরু থেকেই চলে আসছে।
মানুষ, বৃক্ষ সম্পর্ক মধুর কঠিন কেই বা না জানে
গাছের নিষিদ্ধ ফল খেয়ে বিতাড়িত হয়ে স্বর্গসুখ বন্চিত
আদি পিতা আর মাতা চষে বেড়ান মর্তের কষ্টের জীবন
ঈর্ষা, হিংসা , হত্যা, লোভ-লালসা আষ্টে পৃষ্ঠে জডিয়ে
কঠিন সে জীবন, তবু ও কোমল নারী স্পর্শে সন্চালিত
প্রবাহে নতুন নতুন জন্ম, প্রেম প্রীতি, যুদ্ধ, বসতি দখল।
পুরাকালের কাহিনী চলমান বর্তমানের কলুষিত সময়ে ও
বিস্তৃত ধরাধামে পৌরানিক কাহিনী, কেতাবের পরম্পরায়।
জটায়ুর আশ্রয়স্হল সেই বৃক্ষ, গন্ধম আর রসে টইটুম্বুর
আপেল, শয়তানের প্ররোচনা নিত্য বিদ্যমান এ ধরিত্রীতে
পাপাচারে লিপ্ত মনুষ্যকুল, বৃক্ষরাজি আর পক্ষীকুল
নিধন আর ধ্বংসের মরণখেলায় নিমজ্জিত আজীবন।
জলছাপ
কিছু কিছু জলছাপ খুব বেশী স্থায়ী
সাবান ঘষে ঘষে ও ওঠানো মুশকিল
জন্মদাগের মতো লেপটে থাকে দেহে
তবে এরা নয় জন্মদাগ যে কোন সংজ্ঞায়।
জন্মদাগে দেহে মনে ব্যথাবোধ হয় না
জলছাপ মাঝে মাঝে মনে ঝিলিক মারে
দাগা দেয় অস্থির মন স্মৃতি বয়ে আনে বেদনা
অতীত প্রেম ন্যায় অন্যায় স্মৃতি বিক্ষত করে মন
আক্ষেপ আর অনুতাপ একসাথে করে তিরস্কার
উৎসারিত বিয়োগ ব্যথা বড্ড বেশী নিপীড়ন করে
দীর্ঘ স্থায়ী অহেতুক কষ্ট জলছাপ হয়ে আসে অন্তরে!
সময়ের বিয়োজনে যা কিনা অবশ্যই সুদূর অতীত
ধাক্কা কেন দেয় মনের বিস্তীর্ণ গভীরে বিধ্বংসী লয়ে
সম্মুখে ঠেলে দেয় একরাশ কষ্ট অনুভূতি দুরাশার প্রান্তরে।
ড্রাগন নববর্ষ
ড্রাগন অবয়বে আসছে চৈনিক নববর্ষ
দিকে দিকে শোনা যায় তাই এন্তার হর্ষ
বাহারি সাজগোছ দারুন রংয়ের নানান বরণের
কথামালা,বাণী,উপদেশ,নির্দেশ নানান ধরণের।
ড্রাগন বছর মহান সাধু-ঋষিদের বাণীর ডন্কার
চীনদেশে ডন্কা মাতম মনমাতানো উৎসবের।
কাষ্ঠ শীতল অনুভবে ড্রাগন সুখ- শান্তির প্রতীক
বিত্ত, সম্ভ্রম, ক্ষমতা লাভে ড্রাগন তুষ্টি নয় অলীক
অমিমাংসিত দন্ধ সব মিটে গিয়ে শান্তির সুবাতাস বইবে
দয়া-মায়া, স্নেহমমতা নিষিক্ত জনের অন্তরে সদা রইবে।
পয়মন্ত যারা আশীর্বাদ পেয়ে শান্তির দূত হয়ে বেঁচে থাকবে
মানুষের অন্তরে নিরন্তর অপার মহিমায় অসীম মর্যাদায়।
তাও, কনফুসিয়াসের অমৃত বাণী সর্বযুগে সত্য মনে হয়
চীন, কোরিয়া এমনকি ভিয়েতনাম সহ বিস্তীর্ণ অন্চলে।
ড্রাগন বছর মানে শান্তির সুবাতাস ভাবতেই মনে প্রশান্তি
স্নিগ্ধ শান্ত অনুভবে ক্ষণেক্ষণে মনেপ্রাণে অফুরান শান্তি !
Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh